বিদেশ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সামরিক জান্তা সরকার বিরোধী বিক্ষোভ ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। বিক্ষোভের মধ্যেই খুলেছে সুপারমার্কেট-শপিংমল-গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি। রাজপথে চলা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিতে শুরু করেছে জাতিগত সংখ্যালঘুরাও। বুধবার বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনের উত্তরে মায়াঙ্গনে সামরিক জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয় তারা। দেশটির বড় সুপারমার্কেট, শপিংমল ও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি খুলতে শুরু করলেও বন্ধ রয়েছে ব্যাংক ও সরকারি অফিস। এদিকে, বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদির সফরের কথা থাকলেও তা বাতিল করেছে দেশটি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে কূটনৈতিক চাপ দিতে শুরু করেছে ইন্দোনেশিয়া। এছাড়া, আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করেই মিয়ানমারের ১ হাজার ৮৬ নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। গত ১লা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই আটক রয়েছেন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। অভ্যুত্থানের পর থেকেই ক্রমেই জোরালো হচ্ছে সামরিক জান্তা বিরোধী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ সভা। সামরিক শাসকদের হুমকি ধামকি উপেক্ষ করেও দিন দিন আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। গেল ২২ ফেব্রুয়ারির বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয়া নাগরিকরা মিয়ানমারের পতাকা নাড়িয়ে জান্তা সরকার বিরোধী স্লোগান দেয়। দেশটির রাজধানীতে সমবেত হওয়া বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অন্তত একশ’ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। আটক হওয়া বিক্ষোভকারীদের প্রাণনাশের হুমকিও দেয় সামরিক সরকার।
Leave a Reply